
হাদিস থেকে নামাজের দলিল
প্রকৃতপক্ষে যে মুসলমান সে নামাজের প্রতি যত্নবান হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আজ রসূলের হাদিস থেকে নামাজের দলিল নিয়ে আলোচনা করব। কেননা নামাজ আদায় করা একটি ফরজ ইবাদত। নামাজি ব্যক্তিই হলো সফল।
যার সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন প্রিয়নবি সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন:
‘যে ব্যক্তি নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে; কেয়ামতের দিন ওই নামাজ তার জন্য নূর হবে এবং হিসেবের সময় নামাজ তার জন্য দলিল হবে এবং নামাজ তার জন্য নাজাতের কারণ হবে।
পক্ষান্তরে হাদিস থেকে নামাজের দলিল এ বুঝা যায় যারা নামাযে গাফেল?
যে ব্যক্তি নামাজের প্রতি যত্নবান হবে না- কেয়ামতের দিন নামাজ তার জন্য নূর ও দলিল হবে না। তার জন্য নাজাতের কোনো সনদও থাকবে না। বরং ফেরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খালফের সাথে তার হাশর হবে।’
কতক আহলে ইলম এ হাদিসের ব্যক্ষায় বলেন যারা নামাযের ব্যপারে গাফেল তাদের হাশর হবে ফেরাউন, হামান, কারুন, উবাই ইবনে খলফ এদের সাথে।
কেননা তারা নামাজকে নষ্ট করে দিয়াছে দুনয়াবী সার্থ হাছেলের উদ্দেশ্যে।
যেমনী ভাবে ফেরাউন ঈমান গ্রহণ করা ছেরে দিয়াছে রাজত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তাই ধ্বংশের দিকদিয়ে দুনয়ার ঐ সমস্ত মানুষের হাশর হবে তাদের সাথে যারা নামাযে গাফলতী করেছে।
যেমন কারুনের ব্যপারে আল্লাহ বলেন:
إِنَّ قَارُونَ كَانَ مِنْ قَوْمِ مُوسَى فَبَغَى عَلَيْهِمْ
কারুন ছিল মূসার সম্প্রদায়ভুক্ত। অতঃপর সে তাদের প্রতি দুষ্টামি করতে আরম্ভ করল।
এমন কিছু হাদিস যাতে নামাযের গুরুত্ব ফুটে উঠেছে
এছাড়াও আরো বহু হাদিস এমন আছে যাতে নামাযের গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। আমরা তার মধ্যে কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করব। যাতে হাদিস থেকে নামাজের দলিল বুঝে আসে। ইনশাআল্লাহ।
خْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى… قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ وَابْنُ حَزْمٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “
فَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى أُمَّتِي خَمْسِينَ صَلاَةً
فَرَجَعْتُ بِذَلِكَ حَتَّى أَمُرَّ بِمُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ
فَقَالَ مَا فَرَضَ رَبُّكَ عَلَى أُمَّتِكَ قُلْتُ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسِينَ صَلاَةً .
قَالَ لِي مُوسَى فَرَاجِعْ رَبَّكَ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ .
فَرَاجَعْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَوَضَعَ شَطْرَهَا فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَأَخْبَرْتُهُ
فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ .
فَرَاجَعْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ هِيَ خَمْسٌ وَهِيَ خَمْسُونَ
لاَ يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَىَّ .
فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ
فَقُلْتُ قَدِ اسْتَحْيَيْتُ مِنْ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ
হাদিসের অর্থ
ইউনুস ইবনু আবদুল আ’লা (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) এবং ইবনু হায্ম থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
আল্লাহ্ তা’আলা আমার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেন।
আমি ঐ পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত নিয়ে মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট ফিরে আসলাম।
তখন মূসা (আলাইহিস সালাম) আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আপনার প্রতিপালক আপনার উম্মতের উপর কি ফরয করেছেন? তখন আমি বললাম, পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন।
মূসা (আলাইহিস সালাম) আমাকে বললেন যে, আপনি আবার আপনার প্রতিপালকের নিকট হাযির হোন। কারণ আপনার উম্মত পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে সক্ষম হবে না।
তারপর আমি আমার প্রতিপালকের নিকট উপস্থিত হলাম। আল্লাহ্ পঞ্চাশ ওয়াক্ত থেকে কিছু কমিয়ে দিলেন। আমি মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট এসে তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করলাম।
তিনি বললেন, আপনি আবার হাযির হোন। কেননা আপনার উম্মত তা আদায় করতে সক্ষম হবে না।
পরে আমি আবার আমার প্রতিপালকের নিকট উপস্থিত হলাম। তখন আল্লাহ্ পাক বললেন, এটা (গণনার) পাঁচ কিন্তু (প্রতিদানে) এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাতই পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাতের সমান
এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয় না।
তারপর আমি মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট ফিরে যাই। মূসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আবার আপনার প্রতিপালকের নিকট হাযির হোন।
তখন আমি বললাম, আমি আমার মহান প্রতিপালকের নিকট এ বিষয় নিয়ে আবার উপস্থিত হতে লজ্জাবোধ করছি।
চলবে…
বিঃ দ্রঃ আপনার ব্যাকলিং প্রয়োজন?
আমাদের যে কোন পোস্টের লিংক আপনার পোস্টে সংযোগ করে কমেন্ট সেকশনে তার লিংক দিয়ে কমেন্ট করুন।
আমরা আপনাকে আমাদের সাইটে সংযোগ করে নিব।