
মৃত ব্যক্তির জন্য বর্জনীয় ও প্রচলিত বিদআত
মানুষ যখন মৃত্যুর কাছাকাছি বা মৃত্যু বরণ করে তখন তার রূহ, জানাযা ও কবর ঘিরে বহু নাজায়িয ও বিদআতী কাজ শুরু হয় তাই মৃত ব্যক্তির জন্য বর্জনীয় ও প্রচলিত বিদআত শিরণামে কোরআন ও হাদিস থেকে কিছু কথা উল্লেখ করার চেষ্টা করব ইনশা-আল্লাহ।
তার আগে আমাদেরকে জানতে হবে মানুষ মারা গেলে তার জন্য করণীয় কি কি? এ বিষয় সম্পর্কে আমাদের বাংলা ইসলাম (Bangla Islam) সাইটে কোরআন হাদিস বিত্তিক একটি লিখা রয়েছে পড়ে আসার জন্য অনুরুদ রইল।
মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয়
বিখ্যাত মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দীন আলবানী রহ. তাঁর প্রণীত কিতাব “আহকামুল জানায়িয” এ জানাযা সম্পর্কিত যে বিদ‘আত গুলো হয়ে থাকে তার বিস্তারিত একটি তালিকা দিয়াছেন।
আমরা তার থেকে এবং অন্যান্ন উলামায়ে কেরাম যে বিদআত গুলোর কথা উল্লেখ করেছেন তা থেকে কিছু আলোচনা করব।
মৃত আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কিছু মানুষের জন্য এক ধরনের নেয়ামত। তাই যখন ভিতরে অনুভব হবে আমার সময় শেষ হয়ে আসছে তখন বেশি বেশি আল্লাহর নিকট রুনাজারী করা
যাতে এ মৃত্যু নেয়ামত স্বরুপ হয়। আর কিছু মানুষের জন্য মছিবত। তার জন্য ও উচিত আল্লার রহমত থেকে নিরাশ না হয়ে জান্নাতী হওয়ার জন্য দোয়া করা
এবং জীবনের সব গুনাহর জন্য তাওবাহ করা। কোরআনে বর্ণিত রয়েছে:
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنفُسِهِمْ
لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا
إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।
নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সুরা যুমার ৩৯:৫৩
কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষমা প্রার্থনা
আর হাদিসে রহিয়াছে মৃত্যুর সময় আল্লাহর প্রতি সুধারনা পোষণ কর।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّاءَ، عَنِ الأَعْمَشِ
عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ وَفَاتِهِ بِثَلاَثٍ يَقُولُ
لاَ يَمُوتَنَّ أَحَدُكُمْ إِلاَّ وَهُوَ يُحْسِنُ بِاللَّهِ الظَّنَّ.
ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর তিন দিন পূর্বে
তাকে আমি এ কথা বলতে শুনেছি যে, তোমাদের প্রত্যেকেই যেন আল্লাহর প্রতি নেক ধারণা পোষণরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।
আর যদি ব্যক্তি মৃত্যু বরণ না করে কিন্তু মুমূর্ষু অবস্থায় থাকে তখন হাদিসের ভাষায় তাকে কালিমার তালকিন দেওয়া চাই। যাতে তার মৃত্যু ঈমানের উপর হয়।
وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ كِلاَهُمَا عَنْ بِشْرٍ
قَالَ أَبُو كَامِلٍ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، – حَدَّثَنَا عُمَارَةُ بْنُ غَزِيَّةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ عُمَارَةَ
قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ .
আবূ কামিল জাহদারী ফূযয়াল ইবনু হুসায়ন ও উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে মুমূর্ষদের “লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ” এর তালকীন দাও।
(তার সামনে কলেমা পাঠ করতে থাক যেন সে শুনে আল্লাহকে স্মরণ করে।)
কবরস্থ করার সুন্নত পদ্ধতি
পৃথীবির বিভিন্ন দেশে অঞ্চলবেদে মৃত্যু ও জানাযাকে উপলক্ষ করে অনেক ধরণের বিদআত চালু আছে যেগুলোকে ছোয়াবের কাজ মনে করে করা হয়ে থাকে।
যেমন মরণাপন্ন ব্যক্তির শিথানে কুরআন শরীফ রাখা, সূরা ইয়াসিন পড়া, মুমূর্ষকে কেবলামুখ করা।
এ ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে আমলত ঐটা করা চাই যা রসুল থেকে দিকনির্দেশনা মূলক। যেমন হাদিসে বর্ণিত আছে:
وَعَن جَابِرٍ قَالَ : كَانَ رَسُولُ الله ﷺ إِذَا خَطَبَ احْمَرَّتْ عَينَاهُ وَعَلاَ صَوتُهُ
وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ حَتَّى كَأنَّهُ مُنْذِرُ جَيشٍ يَقُولُ صَبَّحَكُمْ وَمَسَّاكُمْ وَيَقُولُ بُعِثتُ أنَا
والسَّاعَةُ كَهَاتَينِ وَيَقْرِنُ بَيْنَ أُصبُعَيهِ السَّبَّابَةِ وَالوُسْطَى وَيَقُولُ
أمَّا بَعْدُ فَإنَّ خَيْرَ الحَديثِ كِتَابُ الله وَخَيرَ الهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ ﷺ
وَشَرَّ الأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلَّ بِدْعَة ضَلالَةٌ
জাবের (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাষণ দিতেন, তখন তাঁর চক্ষুদ্বয় লাল হয়ে যেত এবং তাঁর আওয়াজ উঁচু হত ও তাঁর ক্রোধ কঠিন রূপ ধারণ করত।
যেন তিনি (শত্রু) সেনা থেকে ভীতি প্রদর্শন করছেন। তিনি বলতেন, (সে শত্রু) তোমাদের উপর সকালে অথবা সন্ধ্যায় হামলা করতে পারে।
আর তিনি তাঁর তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলদ্বয় মিলিত করে বলতেন যে, আমাকে এবং কিয়ামতকে এ দু’টির মত (কাছাকাছি) পাঠানো হয়েছে।
আর তিনি বলতেন, আম্মা বা’দ (আল্লাহর প্রশংসা ও সাক্ষ্য দান করার পর) নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম কথা আল্লাহর কিতাব
এবং সর্বোত্তম রীতি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রীতি। আর নিকৃষ্টতম কাজ (দ্বীনে) নব আবিষ্কৃত কর্মসমূহ এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা।……
নিচে নাম্বার দিয়ে প্রশিদ্ধ কিছু মৃত ব্যক্তির জন্য বর্জনীয় ও বেদআতের কথা উল্লেখ করা হল যা মানুষ সচারচর নেকীর কাজ মনে করে করে থাকে।
১. লাশ উঠানো ও নামানোর সময় এবং পথে নিয়ে যাবার সময় উচ্চস্বরে সকলের “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র যিকর।,
২. চল্লিশ কদম জানাযা বহন করে নির্দিষ্ট সওয়াবের আশা করা।,
৩. মাথার দিকে সূরা ফাতিহা বা সূরা বাক্বারার প্রথমাংশ এবং পায়ের দিকে সূরা বাক্বারার শেষাংশ পাঠ করা।,
৪. মৃতের নামে কুরআনখানী,
৫. ফাতেহাখানি ও চল্লিশা করা।,
৬. কবরকে সিজদাহ করা,
৭. কবরের প্রতি সম্মুখ করে নামায পড়া।,
৮. মৃত ব্যক্তির অসীলায় দুআ করা।
আর কিছু কাজ মৃত ব্যক্তির জন্য বর্জনীয় এমন আছে যা নিজে ও পরিবার পরিজনকে মৃত্যুর অনিষ্টতা থেকে বাঁচার জন্য করে থাকে। সেগুলো ও নাম্বার দিয়ে উল্লেখ করা হল।
১. রাতে মৃতব্যক্তির পাশে সকাল পর্যন্ত ভয়ে বাতি জ্বালিয়ে রাখা।,
২. মৃতব্যক্তির পবিত্রতার জন্য ব্যবহৃত বস্ত্রখন্ড ইত্যাদি দূরে ফেলতে গিয়ে কোন বিপদের আশঙ্কায় সঙ্গে লোহা রাখা।,
৩. গোসলের ব্যবহারিত পানি ডিঙ্গাতে নেই মনে করা,
৪. মুর্দার গোসলে ব্যবহৃত সাবান, দাফন কাজে ব্যবহৃত অতিরিক্ত বাঁশ ও দাফনে ব্যবহৃত অতিরিক্ত কাপড় ব্যবহার করতে নেই মনে করা,
৫. জানাযার নিকটবর্তী বা সম্মুখবর্তী না হওয়া।,
৬. আমাবশ্যার রাতে অশুভ মনে করা।,
৭. দাফন করা থেকে ফিরে এসে হাত-মুখ না ধুয়ে বাড়ি প্রবেশ করতে বা কাউকে স্পর্শ করতে নেই ভাবা।,
৮. এ বিশ্বাস রাখা যে বাড়িতে রূহ আসে তাই মিলাদ পড়ানো।,
৯. মৃতের ব্যবহৃত পোশাকাদি সদকাহ করা।,
মিলাদ কিয়াম কি বিদআত ?
আর কিছু কাজ এমন যা ভাল মনে করে থাকে। তাও নাম্বার দিয়ে উল্লেখ করা হল।
১. মৃতব্যক্তির নিকট গোসল না দেওয়া পর্যন্ত কুরআন পড়া।,
২. আগর বাতি, আতর, ধূপ ইত্যাদি দিয়ে সুগন্ধময় করে রাখা।,
৩. গোসল দেওয়ার সময় প্রত্যেক অঙ্গে পানি ঢালার সময় বার বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বা অন্য যিকর পড়া।,
৪. মহিলার চুল চুটি গেঁথে বুকের উপর খোলা ফেলে রাখা।,
৫. বরকতের আশায় বা আযাব মাফ হওয়ার আশায় কোন পীর বা ওলীর সুপারিশ নামা (!) বা শাজারানামা অথবা তার অন্য কিছু অথবা কুরআনী আয়াত বা দুআ কাফনের ভিতরে রাখা।,
৬. কোন ওলীর কবরের পাশে কবর দেওয়ার জন্য দূর থেকে লাশ বহন করা।,
৭. এই বিশ্বাস রাখা যে, মুর্দারা সকলে নিজ নিজ সুন্দর কাফন নিয়ে গর্ব করে তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ করে দামী কাপড় দিয়ে কাফন দেওয়া।,
৮. কাফনের উপর কোন আয়াত বা দুআ লিখা।,
৯. জানাযার খাটকে ফুল ইত্যাদি দ্বারা সঞ্জিত করা।,
১০. সৌন্দর্যখচিত বা কালেমা অথবা আয়াত লিখিত মখমলের চাদর দ্বারা লাশ ঢাকা।,
মৃত্যুর পর চল্লিশা, মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা কি জায়েজ
১১. জানাযা সহ কোন ওলীর কবর তওয়াফ করা।,
১২. জানাযার নামাযের কাতারে গোলাপ পানি ছিটানো।,
১৩. মাথার দিক থেকে লাশ নামানো।,
১৪. কবরের চার কোণে ও মাঝে খেজুর ডাল গাড়া। (অবশ্য পশুর নষ্ট করা থেকে বাঁচাতে কাটা ইত্যাদি রাখা দুষণীয় নয়।),
১৫. দাফনের পর কবরের পাশে বাস করা ও পাহারা দেওয়া। অবশ্য লাশের কোন অঙ্গ অথবা কাফন চুরি হওয়ার আশঙ্কায় পাহারা দিলে ভিন্ন কথা।,
১৬. কবরের সামনে মুসল্লীর মত খাড়া হওয়া।,
১৭. নামায ও তেলাঅত দ্বারা ঈসালে সওয়াব করা।,
১৮. ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কোন অনুষ্ঠান করা।,
১৯. কবরের উপর দর্গা, মাযার ও বাগান তৈরী করা,
২০. মসজিদ ও গম্বুজ নির্মাণ করা,
২১. কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে দুর থেকে সফর করা।,
২২. কবরের নিকট বসে বা স্পর্শ করে তাবারুক নেওয়া।,
২৩. কবর বা মাযার চুম্বন বা স্পর্শ করে গায়ে মাখা।,
২৪. কবরের দেওয়ালে বা মাযারে কপাল, গাল পিঠ বা পেট লাগিয়ে দুআ করা।,
২৫. মসজিদে কারো কবর দেওয়া।,
তাবিজ ব্যবহার করা শরিয়াতের দৃষ্টিতে কেমন ?
২৬. কবরের উপর উরস করা,
২৭. মেলা অনুষ্ঠান করা,
২৮. চাদর চড়ানো।,
২৯. উপস্থিত লোকদের নিকট হতে মৃতের প্রশংসাগীতি আদায় করা। যেমন জানাযা নামাজ শেষে “এ মানুষটি কেমন ছিল” উপস্থিত সবাই “বেশ ভালো ছিল” বলা ।,
৩০. কবরের ধূলাবালি গালে লাগানো।,
৩১. মৃতের নখ কাটা ও গুপ্তাঙ্গের চুল কাটা।,
৩২. কোন কাপড়খন্ডের উপর কলমা লিখে ঐ কাপড় কবরে ভিতর মৃতের ডান পাশে রাখা।,
৩৩. মৃত ব্যক্তিকে কবরে রাখার সময় আযান দেয়া।,
৩৪. দাফনের পূর্বেই মৃত ব্যক্তির কাযা কিংবা ছেড়ে দেয়া নামাজের জন্য আর্থিক কাফফারা দেয়া।
আর কিছু মৃত ব্যক্তির জন্য বর্জনীয় কাজ এমন আছে যা সামাজিক রীতিনিতী হিসাবে করে থাকে। সেগুলো ও নাম্বার দিয়ে উল্লেখ করা হল।
১. মৃত ব্যক্তির নিকট হতে ঋতুবতী, অপবিত্রা, প্রসূতি ও অন্যান্য অপবিত্র মানুষকে দূর করা।,
২. দাফন না হওয়া পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির বাড়িতে পানাহার না করা।,
৩. মৃত্যুর খবর ব্যাপকভাবে (যেমন মাইক ও পত্রিকায় প্রচার করা (অবশ্য আশেপাশের লোককে মৃত্যুর খবর জানিয়ে জানাযার প্রস্তুতির কথা বলা দোষাবহ নয়।),
৪. লাশের উপর বা কবরের উপর ফুল দেওয়া।,
৫. পুষ্পমাল্য দ্বারা শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া।,
৬. জানাযার সাথে পতাকা বহন করা।,
৭. কোন খাদ্যদ্রব্য বা পয়সা ছিটানো।,
৮. জানাযা বের হওয়ার সাথে সাথে সদকা করা।,
৯. লাশ নিয়ে ধীরে চলা যাতে মৃত ব্যক্তির কষ্ট না হয়।,
১০. জানাজার আগে লাশ দেখার জন্য ভিড় জমানো।,
১১. মৃতের উপর জানাযা পড়া হয়েছে তা জানা সত্ত্বেও পুনরায় গায়েবানা জানাযা পড়া।,
১২. জুতার ময়লা নেই একীন সত্ত্বেও জানাযার নামাযের জন্য জুতা খুলে ফেলা অথবা খুলে তার উপর দাঁড়িয়ে নামায পড়া।,
পীর বা মাজারে সিজদা করা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ?
১৩. নামায শেষে হাত তুলে জামাআতী দুআ করা।,
১৪. দাফন করার সময় যিকর জোরে-শোরে পড়া।,
১৫. কবরকে সুগন্ধিত করা।,
১৬. লাশের বুকে আগে মাটি রাখা।,
১৭. কবর এক বিগত ( অর্ধ হাত) এর অধিক উচু করা।,
১৮. কবর লেপে দেওয়া।,
১৯. কবরের পাশে কোন খাদ্য বিতরণ বা পশু যবেহ করে উরশ করা।,
২০. মৃত ব্যক্তির বাড়িতে যিয়াফত গ্রহণ করা।,
২১. মরা ঘরের আত্মীয়-স্বজনকে দেখা করার জন্য এবং সান্ত্বনা দেবার উদ্দেশ্যে তাদের গৃহে জমায়েত হওয়া ও তার জন্য কোন দিন নির্দিষ্ট করা।,
২২. কেবল শোকপালনের উদ্দেশ্যে দাড়ি-গোফ লম্বা করা।,
২৩. অভ্যাসমত ভালো খাওয়া ত্যাগ করা।,
২৪. (মৃতব্যক্তির স্ত্রী ব্যতীত) অন্য কারো শোক পালনের উদ্দেশ্যে সৌন্দর্য ত্যাগ করা।,
২৫. বিধবা মৃত্যু অবধি পর্যন্ত সৌন্দর্য ত্যাগ করা।,
২৬. পুনঃ বিবাহ করাকে মন্দ ও দূষণীয় জানা।,
পীরের কাছে সন্তান চাওয়া যাবে
২৭. মুর্দার দম যাওয়ার স্থানে কয়েক দিন ধরে লাতা দেওয়া, বাতি ও ধূপ জ্বালিয়ে রাখা।,
২৮. দাফনের পর কয়েকদিন সকালে কবর যিয়ারত করা।,
২৯. যিয়ারতের জন্য কোন দিন নির্ধারিত করা,
৩০. কবর বাঁধানো,
৩১. শিয়রদেশে পাথরের উপর নাম খোদাই করা,
৩২. কোন আয়াত লিখা বা ‘জান্নাতী’ লিখা।,
৩৩. তাযীম করে কবরের দিকে পিঠ না করা।,
৩৪. জানাযার নামাযের পূর্বে মৃতব্যক্তির স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেয়া ।,
৩৫. কবর পাকা করা।,
সাথে সাথে কিছু কাজ মৃত ব্যক্তির জন্য বর্জনীয় এমন আছে যা বিশ্বাস থেকে জন্মায় এবং মনে করে থাকে এটা করলে ঐটা হবে। সেগুলো ও নাম্বার দিয়ে উল্লেখ করা হল।
১. এই বিশ্বাস রাখা যে, মৃত ব্যক্তি নেক হলে তার লাশ হাল্কা অথবা ভারী হয়।,
২. জানাযা পড়ার সময় লাশের বাধন খুলে দেওয়া।,
৩. মুর্দার জন্য কবরে বালিশ তৈরী করা।,
৪. কবরের পাশেই মাটির পাত্র (ব্যবহার যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও) ছেড়ে আসা।,
৫. আমাবশ্যার রাতে মৃত্যু বরণ করার কারণে খারাপ মনে করা।,
৬. এ বিশ্বাস রাখা কবরের মাটি বৃদ্ধি হলে অচিরেই আবার কেউ মরা যাবে মনে করা।,
৭. মৃত যা খেতে ভালোবাসতো তাই সদকাহ করা।,
৮. কারো মরার পুর্বেই কবর খনন করে রাখা।,
৯. কোন যিয়ারতকারীর মাধ্যমে সালাম পাঠানো।,
১০. কারো কবর যিয়ারতে তাবারুক বা নেকীর আশা করা।,
তকদিরের উপর নির্ভর করে আমল ছেড়ে দেওয়া জায়েজ কি
১১. সালেহীনদের কবরের নিকট দুআ কবুল হয় এই বিশ্বাস রাখা এবং এই উদ্দেশ্যে যিয়ারত করা।,
১২. কবরস্থানের গাছ-পালাকে পবিত্র মানা এবং তা কাটতে নেই মনে করা বা কাটতে ভয় করা।,
১৩. সম্মুখ করে কবরবাসীর ধ্যান করা, ১৪. সন্তান লাভের আশায় যোনি দ্বারা স্পর্শ করা,
১৫. কবরবাসীকে নাজাতের অসীলা বা বিপদে সুপারিশকারী মনে করা।,
১৬. মৃত ব্যক্তির নামে আল্লাহর উপর কসম খাওয়া।,
১৭. মৃত ব্যক্তির নামে আল্লাহর কাছে সাহায্য, সন্তান, সম্পদ, সুখ ও বিপদ মুক্তি চাওয়া।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে মৃত ব্যক্তির জন্য বর্জনীয় যে কাজ গুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা থেকে পরিপূর্ণ বাচাঁর তাওফিক দান করুক। আমিন।
