
মিলাদ কিয়াম কি বিদআত ?
শেষ নবী ও শ্রেষ্ঠ রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ভালবাসা ও গভীর মহব্বত রাখার নামই হল ঈমান শুধু মিলাদ কিয়াম দ্বারা ঈমানদার হওয়া যাবে না যদি তা তাঁর দেখানো পথ অনুযায়ী আমল না করা হয়।
কেননা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মলগ্ন থেকে মৃত্যু পূর্ব পর্যন্ত তার পবিত্র জীবনাদর্শ ও কর্ম-কাণ্ডের আলোচনা এবং দুরুদ ও সালাম পেশ করা ইবাদত।
তবে উক্ত ইবাদত অবশ্যই সে পদ্ধতিতে করতে হবে, যে পদ্ধতি স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে শিক্ষা দিয়েছেন।
তারপর সাহাবায়ে কেরাম রা. তাবেঈনদের শিক্ষা দিয়েছেন এবং তাবেঈনগণ পরবর্তীদের শিখিয়ে গেছেন।
এ জন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনাদর্শ আহকামে দীন ও শরীয়ী বিধি-বিধান সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ।
সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা করা সওয়াব ও বরকতের বিষয়
এবং মহান দীনী কাজ হলেও শরীয়তের নিয়ম-নীতি সম্পর্কে কোনো জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও
এক শ্রেণীর লোকেরা ‘মিলাদ কিয়াম’ নামে সম্মিলিত সুরে গদভাধা কিছু পাঠের অনুষ্ঠান এবং কিয়ামের যে রীতি চালু করেছে,
তার কোনো ভিত্তি কুরআন-হাদীসে, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনের সোনালী যুগে পাওয়া যায় না।
অথচ সর্বস্বীকৃত সত্য হলো, তারাই ছিলেন প্রকৃত নবীপ্রেমী খাঁটি আশেকে রাসূল এবং নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শের পরিপূর্ণ অনুসারি ও বাস্তব নমুনা।
প্রচলিত মিলাদ কিয়াম এর অর্থ:
মিলাদ শব্দটি আরবি مَوْلُوْدٌ = مَوْلِدٌ مِيْلَادٌ- ولادة وولاد আরবি মাসদার মূলধাতু হতে নির্গত। আরবি ভাষার যুগ শ্রেষ্ঠ অভিধান আলকামুস, মিসবাহ, লিসানুল আরব, আল মুনজিদে
এবং উর্দুসহ বিভিন্ন আরবি ডিকশনারীতে ولادة শব্দের অর্থ জন্ম দেয়া, ভূমিষ্ট করা। আর মিলাদ ميلاد মাওলিদ مولدএবং মাওলুদ مولود শব্দের অর্থ জন্ম কাল, জন্মদিন, ভূমিষ্টের সময়।
মিলাদ কিয়াম এর প্রকৃত ইতিহাস
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া- ১৩/১৫৯ আছে মূলতঃ হিজরী ৬ষ্ঠ শতাব্দী পর্যন্ত এ ধরনের মিলাদ কোথাও অনুষ্ঠিত হয়নি।
৬ষ্ঠ হিজরী শতাব্দীর পর বাদশা মুজাফফর উদ্দীন আবু সাঈদ কৌকরী বিন আরবাল তিনি আমোদ-প্রমোদের জন্য এ বিদআতের সর্বপ্রথম উদ্ভোধন করেন।
আর কেহ বলেন প্রচলিত এই মিলাদ ও কিয়ামের উদ্ভব ঘটে ৬০৪ হিজরি সনে। ইরাকের মাসূল শহরের বাদশা আবু সাঈদ মুজাফ্ফর কাকরী
এবং তার দরবারি আলেম আবু খাত্তাব উমর ইবনে দিহইয়া এদু’জন মিলে এর প্রচলন ঘটায়।
এরা উভয়ে দীনের ব্যাপারে খুবই উদাসীন এবং ফাসিক প্রকৃতির লোক ছিল। পরবর্তীতে অজ্ঞতা, মূর্খতা ও জাহালতের অন্ধকারে নিমজ্জিত শ্রেণীর লোকদের মাধ্যমে
আরো অনেক কুসংস্কার, শরীয়ত বিরোধী বিশ্বাস ও কার্যাবলী এতে সংযোজিত হতে থাকে। যার সবকিছুই কুরআন-হাদিস, ইজমা-কিয়াস তথা শরীয়তের মূল প্রমাণ পরিপন্থী।
তা ছাড়া মিলাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাজির-নাজির মনে করে কিয়াম করা তো রীতিমতো শিরক। হাজির-নাজির মনে না করলেও শরীয়তে এর ভিত্তি নেই।
এ সকল কারণে প্রচলিত মিলাদ, কিয়াম না জায়েজ ও বিদআতের অন্তর্ভুক্ত বলেই সকল হক্কানী ওলামায়ে কেরাম একবাক্যে ফতওয়া দিয়ে থাকেন।
প্রচলিত মিলাদ কিয়াম এর পরির্বতে কি করব
এজন্য প্রচলিত মীলাদের আয়োজন না করে ‘বিশেষ দোয়া’ করা যেতে পারে। এতে দোয়া কবুললের উদ্দেশ্য নিয়মানুযায়ী কিছুক্ষণ দরূদ শরিফ,
তাসবীহ-তাহলীল, ওজীফা, সূরা ফাতেহা, সূরা ইখলাস ইত্যাদি
যার যা জানা আছে প্রত্যেকে নিজস্বভাবে পড়বে। সম্মিলিত সুরে নয়। এরপর মুনাজাত করবে। এ পদ্ধতিতে আমল করার অবকাশ রয়েছে।
এটি সর্বোতভাবে শরীয়তসম্মত। এ সম্পর্কে কোনো বিতর্ক বা কারো দ্বিমত নেই। আর ইয়া নাবী সালাম আলাইকা বলে
দরূদ শরীফ রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে হাজির-নাজির মানে করে পাঠ করলে তো শিরক হবে।
তবে যদি এই বিশ্বাস নিয়ে পাঠ করে যে, এটি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পৌঁছানো হয়-তাহলে শিরক হবে না।
মোট কথা বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ২৩ বছর, খোলাফায়ে রাশেদীনের আনুমানিক ৩০ বৎসর, এরপর প্রায় ২২০ হিজরী পর্যন্ত তাবেঈন, তাবে তাবেঈন-এর যুগ,
এরপর প্রায় ৪০০ হিজরী পর্যন্ত ইমাম ও মুজতাহিদীনের যুগ, এরপর প্রায় ৬০৩ হিজরী পর্যন্ত মহামনিষী ও সুফী সাধকদের যুগেও প্রচলিত মিলাদ কিয়াম এর অস্তিত্ব ছিল না।
সর্ব প্রথম ৬০৪ হিজরী মোতাবেক ১২১৩ খৃষ্টাব্দে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ মিলাদের প্রচলন হয়। সুতরাং প্রচলিত মিলাদ অনুষ্ঠানটি নিঃসন্দেহে বিদআত ও নাজায়েজ।
কিয়ামের প্রকৃত ইতিহাস:
প্রচলিত মিলাদের সাথে আরেকটি প্রথা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে জুড়ে দেয়া হয়েছে। যার নাম দেয়া হয়েছে কিয়াম। এটি মিলাদের পরে আবিষ্কৃত হয়েছে।
৭৫১ হিজরির কথা। খাজা তকি উদ্দীন ছিলেন একজন ভাব কবি ও মাজযুব ব্যক্তি। নবীজীর শানে তিনি কিছু কাসিদা (কবিতা) রচনা করেন।
বরাবরের ন্যায় একদিন তিনি কাসিদা পাঠ করছিলেন এবং ভাবাবেগে হঠাৎ তিনি দাঁড়িয়ে কাসিদা পাঠ করতে লাগলেন।
ভক্তরাও তাঁর দেখাদেখি দাঁড়িয়ে গেল। ঘটনা এখানেই শেষ। তিনি আর কখনো এমনটি করেন নি।
এখানে একটা বিষয় লক্ষনীয় যে,খাজা তকি উদ্দীন কবিতা পাঠ করতে করতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন।
এটি কোন মিলাদের অনুষ্ঠান ছিল না। তিনি অনিচ্ছাকৃত দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন।
কিন্তু মিলাদের জন্মের একশত বছর পরে বিদআতপন্থীরা এটিকে মিলাদের সাথে জুড়ে দেয়।
ফলে কিয়ামজাত মিলাদ বিদআত হওয়ার বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। ফতোয়ায়ে তাহমীদ
মিলাদ-কিয়ামের দলিল
আর যারা সূরা আহযাবের ৫৬ নং আয়াত দ্বারা মিলাদ-কিয়ামের দলিল দেয় তা তাদের অজ্ঞতারই পরিচায়কঃ আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ۚ ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠِّﻤُﻮﺍ ﺗَﺴْﻠِﻴﻤًﺎ
অর্থঃ আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি দরূদ (রহমত) প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর জন্যে দরূদ পড়
এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর। সুরা আহযাব-আয়াত ৫৬
তাফসীরে ইবনে কাসীরে উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে এবং সহীহ বুখারীতে আবুল আলিয়া (রাযি,)হইতে বর্ণিত আছে
যে,আল্লাহ তা আলা স্বীয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ পাঠের ভাবার্থ হল,
তার নিজ ফেরেশতাদের কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রশংসা ও গুণাবলীর বর্ণনা করা।
আর ফেরেশতাদের দরূদ পাঠের অর্থ হল তার জন্য রহমত ও বরকতের দুয়া করা।
যেমনটি হযরত ইবনে আব্বাস (রা)ও বলেছেন৷ অর্থাৎ এ থেকে জানা যায় আল্লাহ তাআলা নিজে রাসুলের প্রতি দরূদ পড়েন এবং তার ফেরেতারাও।
এবং আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকেও এই ব্যাপারে তাকিদ দিয়েছেন যাতে করে ফেরেশতা ও দুনিয়াবাসির মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান হয়।
সুতরাং এ আয়াত দ্বারা মিলাদ-কিয়ামের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না বরং শুধু দরুদ-সালাম পাঠের প্রমাণ পাওয়া যায়৷
কোরআনের কারণে মিলাদ কিয়াম বিদআত।
প্রথম কারণঃ আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআনে ঘোষনা দিয়ে বলেছেন:
ﻭَﻣَﺂ ﺀﺃﺗَﺎﻛُﻢُ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝُ ﻓَﺨُﺬُﻭﻩُ ﻭَﻣَﺎ ﻧَﻬَﺎﻛُﻢْ ﻋَﻨْﻪُ ﻓَﺎﻧْﺘَﻬُﻮﺍ
অর্থাৎ, রাসূল যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাক। সূরা হাশর-৭
দ্বীতিয় কারণঃ মিলাদ কিয়ামের মত বিদআত আমলের আবিস্কারের মাধ্যমে এ কথা প্রতীয়মাণ হয় যে,আল্লাহ তা’আলা দ্বীনকে এ উম্মতের জন্য পরিপূর্ণ করেন নি,তাই দ্বীনের পরিপূরক কিছু আবিস্কারের প্রয়োজন হয়েছে।
এটা চুড়ান্ত পর্যায়ের অন্যায় ও ভুল। এটা আল্লাহর দুশমন ইয়াহুদী-খ্রিষ্টান কর্তৃক তাদের ধর্মে নবপ্রথা সংযোজনের সাথে সামঞ্জস্য স্বরূপ
এবং আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপর একধরণের অভিযোগও বটে!
অথচ আল্লাহ তা’আলা তাঁর দ্বীনকে পরিপূর্ণ ও বান্দাদের জন্য সকল নিয়ামত সস্পূর্ণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন:
ﺍَﻟْﻴَﻮْﻡَ ﺃَﻛْﻤَﻠْﺖُ ﻟَﻜُﻢْ ﺩِﻳْﻨَﻜُﻢْ ﻭَﺃَﺗْﻤَﻤْﺖُ ﻋَﻠَﻴْﻜَﻢْ ﻧﻌْﻤَﺘِﻲْ ﻭَ ﺭَﺿِﻴْﺖُ ﻟَﻜُﻢ ﺍﻹِﺳْﻼﻡَ ﺩِﻳْﻨًﺎ
আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম ও আমার নিয়ামত তোমাদের জন্য সম্পূর্ণ করে দিলাম
এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। সূরা মায়েদা ৩
হাদিসের কারণে মিলাদ কিয়াম বিদআত।
তৃতীয় কারণঃ হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
ﻣَﻦْ ﺃَﺣْﺪَﺙَ ﻓِﻲ ﺃَﻣْﺮِﻧَﺎ ﻫَﺬَﺍ ﻣَﺎ ﻟَﻴْﺲَ ﻣِﻨْﻪُ ﻓَﻬُﻮَ ﺭَﺩٌّ
অর্থাৎ, যে আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু প্রবর্তন করে যা এর অন্তর্ভূক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত। বুখারী ও মুসলিম
চতুর্থ কারণঃ অন্যত্র হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
ﻓَﻌَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺑِﺴُﻨَّﺘِﻲ ﻭَﺳُﻨَّﺔِ ﺍﻟْﺨُﻠَﻔَﺎﺀِ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﺪِﻳﻦَ ﺍﻟْﻤَﻬْﺪِﻳِّﻴﻦَ ﺗَﻤَﺴَّﻜُﻮﺍ ﺑِﻬَﺎ ﻭَﻋَﻀُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﺑِﺎﻟﻨَّﻮَﺍﺟِﺬِ ﻭَﺇِﻳَّﺎﻛُﻢْ ﻭَﻣُﺤْﺪَﺛَﺎﺕِ ﺍﻟْﺄُﻣُﻮﺭِ ﻓَﺈِﻥَّ ﻛُﻞَّ ﺑِﺪْﻋَﺔٍ ﺿَﻠَﺎﻟَﺔٌ
অর্থাৎ, তোমাদের জন্য আবশ্যক আমার ও আমার পরবর্তী হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে এমনভাবে আঁকড়ে ধরা
যেভাবে দাঁত দিয়ে কোন জিনিস দৃঢ়ভাবে কামড়ে ধরা হয়। আর শরীয়তে নিত্য-নতুন জিনিস আবিস্কার করা হতে বেঁচে থাক।
কেননা সকল নবসৃষ্ট বস্তুই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী। আবু দাউদ
নবীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ।
আর আমরা জানি, আমাদের নবী সকল নবীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ। তিনি সবার চেয়ে অধিকতর পরিপূর্ণভাবে দ্বীনের পয়গাম পৌঁছিয়েছেন।
যদি মিলাদ-কিয়াম আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত দ্বীনের অংশ হত আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের কারণ হত,তাহলে অবশ্যই তিনি তা উম্মতের জন্য বর্ণনা করতেন বা তাঁর জীবনে একবার হলেও আমল করে দেখাতেন
এবং তাঁর সাহাবীগণ বিশেষত খোলাফায়ে রাশেদীন অবশ্যই তা করতেন। যেহেতু তাঁরা এমনটি করেছেন বলে বিদআতিদের কিছু মিথ্যা ও বানোয়াট কথা ছাড়া নির্ভরযোগ্য একটি বর্ণনাও পাওয়া যায় না,
তাই প্রমাণিত হয় যে, ইসলামের সাথে এই মিলাদ-কিয়ামের কোন সম্পর্ক নেই বরং এটা নবআবিস্কৃত ও বিদআত৷ যা থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে সাবধান থাকতে বলেছেন। (ফতোয়ায়ে তাহমীদ)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বিদআতী কু-সংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে সুন্নতের উপর আমল করে জিন্দেগী জাপন করার তাওফিক দান করুক। আমিন।