
ইসলামে ধর্ষণের বিচার কি
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধান। তাই আজ আমরা ইসলামে ধর্ষণের বিচার কি ? এ নিয়ে কোরআন ও হাদিস থেকে দলিল বিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচনা করব। ইনশা-আল্লাহ। যাতে ধর্ষনের বিচার সম্পর্কিয় একটি ধারণা চলে আসে।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুয়্যাতের পূর্ব যুগকে কোরআন ও হাদিসের ভাষায় বলা হয় আইয়ামে জাহিলিয়্যাত বা অন্ধকার যুগ। যেমন কোরআনে বর্ণিত রয়েছে:
أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللّهِ حُكْمًا لِّقَوْمٍ يُوقِنُونَ
তারা কি জাহেলিয়াত আমলের ফয়সালা কামনা করে? আল্লাহ অপেক্ষা বিশ্বাসীদের জন্যে উত্তম ফয়সালাকারী কে? সুরা মায়েদা আয়াত : ৫০
যে যুগে ন্যায় ও ইনসাফ বলতে কোন কিছু ছিল না। যে যেভাবে পারছে জীবন যাপন করেছে। তখন মানুষের মাঝে সম্মানবোধও ছিলনা।
ছিলনা কোন মানবতাবোধ তাই নারীরা ছিল তাদের ভোগের সামগ্রী। নারীদের বাঁচার কোনো অধিকার ছিল না। কন্যা সন্তান জন্মানো যেখানে ছিল অপরাধ।
এত নির্যাতনের পরেও যেই সমস্ত নারীরা বেঁচে যেত, তারা হতো ভোগের বস্তু। ভোগপন্য ছাড়া অন্যকোনো পরিচয় তাদের ছিল না।
ব্যভিচার ও ধর্ষণ যেখানে ছিল নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যাপার। ইসলাম একমাত্র ধর্ম যে নারীকে পুরুষের চেয়ে বেশি মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে।
ব্যভিচার ও ধর্ষন কে অশ্লীল ও নিকৃষ্ট কাজ বলে ঘোষণা করেছে। নারীর সম্মান ও নিরাপত্তার জন্য পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য পর্দার বিধান দিয়েছে। শালীন ও ভদ্র পোশাক পরিধানের কথা বলেছে।
কোরআনে ইসলামে ধর্ষণের বিচার কি বুঝাইতে গিয়ে আল্লাহ বলেন তারা যেন ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে
নারী-পুরুষকে চক্ষু অবনত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। কোরআনে বর্ণিত রয়েছে:
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ
أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ
أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء
وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ
وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।
তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে
এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র,
স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী,
যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে,
তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে।
মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
সুরা নুর আয়াত : ৩১
এ দীর্ঘ আয়াতের সূচনাভাগে সেই বিধানই বর্ণিত হয়েছে, যা পূর্ববর্তী আয়াতে পুরুষদের জন্য ব্যক্ত হয়েছে। অর্থাৎ তারা যেন দৃষ্টি নত রাখে তথা দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়।
পুরুষদের বিধানে নারীরাও অন্তর্ভুক্ত ছিল, কিন্তু জোর দেয়ার জন্য তাদের কথা পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নারীদের জন্য মাহরাম নয় এমন পুরুষকে দেখা হারাম
অনেক আলেমের মতেঃ নারীদের জন্য মাহরাম নয়, এমন পুরুষের প্রতি দেখা সর্বাবস্থায় হারাম; কামভাব সহকারে বদ নিয়তে দেখুক অথবা এ ছাড়াই দেখুক।
তার প্রমাণ উম্মে সালমা বর্ণিত হাদীস যাতে বলা হয়েছেঃ
حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ… أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا، كَانَتْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَيْمُونَةُ
قَالَتْ فَبَيْنَا نَحْنُ عِنْدَهُ أَقْبَلَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ فَدَخَلَ عَلَيْهِ وَذَلِكَ بَعْدَ مَا أُمِرْنَا بِالْحِجَابِ
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” احْتَجِبَا مِنْهُ ” . فَقُلْتُ
يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَيْسَ هُوَ أَعْمَى لاَ يُبْصِرُنَا وَلاَ يَعْرِفُنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ”
أَفَعَمْيَاوَانِ أَنْتُمَا أَلَسْتُمَا تُبْصِرَانِهِ
উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন যে, তিনি ও মাইমূনা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাশে হাযির ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা দু’জন তার নিকটে অবস্থানরত থাকতেই ইবনু উম্মু মাকতুম (রাঃ) তার নিকট এলেন। এটা পর্দার নির্দেশ অবতীর্ণ হওয়ার পরের ঘটনা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা উভয়ে তার থেকে পর্দা কর। আমি (উম্মু সালামা) বললাম,
হে আল্লাহর রাসূল! তিনি কি অন্ধ নন? তিনি তো আমাদেরকে দেখতেও পারছেন না চিনতেও পারছেন না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
তোমরাও কি অন্ধ, তোমরাও কি তাকে দেখতে পাচ্ছ না।
ব্যভিচার ও ধর্ষণ বন্ধে শাস্তির বিধান
ইসলামে ব্যভিচার ও ধর্ষণ বন্ধে কঠিন শাস্তির বিধান দিয়েছে। ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী বিবাহিত হলে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার বিধান দিয়েছে।
আর ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী অবিবাহিত হলে ১০০ বেত্রাঘাত করার নির্দেশ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে:
الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِئَةَ جَلْدَةٍ
وَلَا تَأْخُذْكُم بِهِمَا رَأْفَةٌ فِي دِينِ اللَّهِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ
وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَائِفَةٌ مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ
ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর।
আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক।
মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। সুরা নুর আয়াত : ২
এ তো গেল ব্যভিচারের শাস্তির কথা। যেখানে নারী পুরুষ উভয়ের সম্মতী থাকে। কিন্তু ধর্ষণ যা ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য ও ভয়ঙ্কর অপরাধ।
আর ধর্ষণ হত্যার পর সবচেয়ে বড় গুনাহ। ধর্ষণের বেলায় একপক্ষ থেকে ব্যভিচার হয় কিন্তু অন্যপক্ষ থেকে হয়ে থাকে নির্যাতিত বা মজলুম।
এ ক্ষেত্রে তার কোনো পাপ নেই। কেননা ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার ওপর বল প্রয়োগ করা হয়েছে।
ভুলে যাওয়া ও বল প্রয়োগকৃত বিষয় ক্ষমা করা হয়েছে
হাদিসে বর্ণিত রয়েছে ভুলে যাওয়া কাজ ও বল প্রয়োগকৃত বিষয় ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে:
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ …عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
إِنَّ اللهَ وَضَعَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
আল্লাহ্ আমার উম্মাতকে ভুল, বিস্মৃতি ও জোরপূর্বক কৃত কাজের দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
সাধরণত ধর্ষণের ক্ষেত্রে তিনটি অপরাধ হয়ে থাকে। এক. সম্ভ্রম লুণ্ঠন। দুই, ব্যভিচার। তিন, বল প্রয়োগ।
ব্যভিচারের জন্য কোরআনে বর্ণিত যে শাস্তি রয়েছে তা সে পাবে। এতে যদি তার মৃত্যুও হয়। আর আখেরাতে ব্যভিচারের শাস্তির কথা বলতে গিয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে:
وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ
وَلَا يَزْنُونَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا
এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না
এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে। সুরা ফুরকান আয়াত : ৬৮
يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا
কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে। সুরা ফুরকান আয়াত : ৬৯
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ
وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন।
আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সুরা ফুরকান আয়াত : ৭০
কোরআনে ব্যভিচারের কঠিন নিন্দা করেন
আল্লাহতাআলা পবিত্র কোরআনে ব্যভিচারের কঠিন নিন্দা করেন। তিনি বলেন, তোমরা যিনা তথা ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হয়ো না:
وَلاَ تَقْرَبُواْ الزِّنَى إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاء سَبِيلاً
আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। সুরা বনী-ইসরাঈল আয়াত : ৩২
কেউ যদি জোরজবস্তি ধর্ষণের শিকার হয় বা এমন কোন পরিস্থিতিতে পরে তাহলে ইসলাম তাকে যথাসম্ভব প্রতিরোধ করতে বলে।
এমনকি যদি ধর্ষণকারীকে হত্যা করার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়, সেটাও ইসলাম সমর্থন করে।
যেমন হাদিসে এসেছে:
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ…عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ
مَنْ قُتِلَ دُونَ مَالِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ وَمَنْ قُتِلَ دُونَ دِينِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ
وَمَنْ قُتِلَ دُونَ دَمِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ وَمَنْ قُتِلَ دُونَ أَهْلِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ
সাঈদ ইবনু যাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ
যে লোক নিজের ধনমাল রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে সে শহীদ। যে লোক নিজের দীনকে হিফাযাত করতে গিয়ে মারা যায় সে শহীদ।
যে লোক নিজের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে সে শহীদ। যে লোক তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে গিয়ে (সম্ভ্রম রক্ষা করতে গিয়ে) মারা যায় সেও শহীদ।
ধর্ষণকারীকে হত্যা করলে দিয়ত (রক্তমূল্য) পরিশোধ করতে হবে না
এ প্রসঙ্গে ইমাম আহমাদ একটি হাদিস উল্লেখ করেন। এক ব্যক্তি হুযাইল গোত্রের কিছু লোককে মেহমান হিসেবে গ্রহণ করল। সে ব্যক্তি মেহমানদের মধ্য থেকে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল।
তখন সে মহিলা তাকে পাথর ছুড়ে মারেন। যার ফলে লোকটি মারা যায়। সে মহিলার ব্যাপারে উমর (রা.) বলেন: আল্লাহর শপথ, কখনই পরিশোধ করা হবে না
অর্থাৎ কখনোই এই নারীর পক্ষ থেকে দিয়ত (রক্তমূল্য) পরিশোধ করা হবে না।
ইসলামে ধর্ষণের বিচার কি এ সম্পর্কে উল্লেখিত হাদিস থেকে বুঝে আসল নারীর যদি আত্মরক্ষা করার সামর্থ্য থাকে তাহলে সেটা করা তার ওপর ওয়াজিব। কেননা দুর্বৃত্তকে সুযোগ দেয়া হারাম।
আল্লাহ আমাদের সকলকে উক্ত ঘৃর্নিত কাজ থেকে বেচে থাকার এবং কোরআন হাদিস অনুযায়ী জীবন জাপন করার তাওফিক দান করুক। আমিন।